Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
পাইলগাঁও জমিদার বাড়ি
স্থান

পাইলগাঁও, জগন্নাথপুর

কিভাবে যাওয়া যায়

উপজেলা সদর হতে সড়ক পথে (বাস/জীপ/কার/সিএনজি/বাইক) আনুমানিক ৮ কি. মি. । যেতে আনুমানিক প্রায় ৩০ মিনিট লাগে।   

যোগাযোগ

0

বিস্তারিত

প্রাচীন পুরাকীর্তির অন্যতম নিদর্শন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও জমিদারবাড়ী। প্রায় সাড়ে ৫ একর ভূমির ওপর প্রতিষ্ঠিত তিন শত বছরেরও বেশী পুরানো এ জমিদার বাড়ীটি এ অঞ্চলের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন । এ জমিদার পরিবারের শেষ জমিদার ব্রজেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী ছিলেন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন সিলেট বিভাগের কংগ্রেস সভাপতি এবং আসাম আইন পরিষদের সদস্য। সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলায় জগন্নাথপুর উপজেলাধীন পাইলগাঁও ইউনিয়নের পাইলগাঁও গ্রামে ঐতিহ্যবাহী এ জমিদারীর অবস্থান। জমিদার বাড়ী দক্ষিণ দিকে সিলেটের কুশিয়ারা নদী বহমান। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক অচ্যূতচরণ চৌধুরী পাইলগাঁও জমিদার বংশের রসময় বা রাসমোহন চৌধুরী হতে প্রাপ্ত সূত্রে লিখেছেন যে; পাইলগাঁওয়ে বহুপূর্বকালে পাল বংশীয় লোক বসবাস করত। এ গোষ্টিয় পদ্মলোচন নামক ব্যক্তির এক কন্যার নাম ছিল রোহিণী। কোন এক কারণে রাঢ দেশের মঙ্গলকোট হতে আগত গৌতম গোত্রীয় কানাইলাল ধর রোহিণীকে বিবাহ করত গৃহ-জামাতা হয়ে এখানেই বসবাস শুরু করেন। কানাইলাল ধরের আট পুরুষ পরে বালক দাস নামের এক ব্যক্তির উদ্ভব হয়। এ বালক দাস থেকে এ বংশ বিস্তৃত হয়। বালক দাসের কয়েক পুরুষ পর উমানন্দ ধর ওরফে বিনোদ রায় দিল্লীর মোহাম্মদ শাহ বাদশা কর্তৃক চৌধুরী সনদপ্রাপ্ত হন। বিনোদ রায়ের মাধব রাম ও শ্রীরাম নামে দুই পুত্রের জন্ম হয়। তার মধ্যে মাধব রাম জনহিতকর কর্মপালনে নিজ গ্রাম পাইলগাঁও এ এক বিরাট দীঘি খনন করে সুনাম অর্জন করেন। তার দেয়া উক্ত দীঘি আজও ঐ অঞ্চলে মাধব রামের তালাব হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। মাধব রামের দুই পুত্র মদনরাম ও মোহনরাম । মোহনরামের ঘরে দুর্লভরাম, রামজীবন, হুলাসরাম ও যোগজীবন নামে চার পুত্রের জন্ম হয়। এই চার ভাই দশসনা বন্দোবস্তের সময় কিসমত আতুয়াজানের ১থেকে ৪ নং তালুকের যতাক্রমে বন্দোবস্তগ্রহন করে তালুকদার নাম ধারণ করে। এদের মধ্যে হুলাসরাম বানিয়াচং রাজ্যের দেওয়ানি কার্যালয়ে উচ্চ পদের কর্মচারী নিযুক্ত হন। হুলাসরাম চৌধুরী বানিয়াচং রাজ্যের রাজা দেওয়ান উমেদ রাজার অনুগ্রহে আতুয়াজান পরগণায় কিছু ভূমি দান প্রাপ্তহন। হুলাসরামের প্রাপ্তভূমির কিছু কিছু চাষযোগ্যও কিছু ভূমি চাষ অযোগ্যছিল। পরবর্তিতে হুলাসরাম চাষ অযোগ্য ভূমিগুলোকে চাষযোগ্যকরে তুললে এগুলোই এক বিরাট জমিদারীতে পরিণত হয়ে উঠে। হুলাস রামের ভাতুষ্পুত্র বিজয় নারায়ণের একমাত্র পুত্র ব্রজনাথ চৌধুরী জমিদারি বর্ধিত করে এক প্রভাবশালী জমিদারে পরিণত হন। ব্রজনাথ চৌধুরীর দুইপুত্র রসময় ও সুখময় চৌধুরী। রসময় চৌধুরীর পুত্র ব্রজেন্দ্র নারায়নই ছিলেন এ বংশের শেষ জমিদার।